সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ টেপুড়া এলাকা থেকে তিন ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ হেফাজতে জিল্লুর রহমান রুবেল, মিরন মীর ও অলিদকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী মো. জসিম হাওলাদার রবিবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাইসাইকেলে দক্ষিণ টেপুড়া গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া রহমানিয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন ব্রিজের ওপরে ওৎপেতে থাকা বেলাল মাদবরসহ চার ছিনতাইকারী বিকাশ ব্যবসায়ীকে মারধর ও চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিকাশ ব্যবসায়ীর ডাক চিৎকারে চারদিক থেকে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে ছিনতাইকারীদের ঘিরে ফেলে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল ফেলে বিলের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতা জিল্লুর রহমান রুবেল মোল্লা (২৫) ও মিরন মীর (৩০) ও অলিদ (২৯) নামে তিন ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। ছিনতাইয়ের মূলহোতা বেলাল মাদবর পালিয়ে যায়। স্বজনরা আহত ব্যবসায়ী জসিমকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ খবর পেয়ে তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত জিল্লুর রহমান রুবেল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি মোটরসাইকেল চালাই। বাড়িতে আসার কথা বলে বেলাল মাদবর আমাকে নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জসিম হাওলাদারের টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা আমাকে জানায়। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে বেলাল ছুরি মেরে আহত করেছে। সে আরও জানান, বেলাল মাদবর মরিচের গুড়ো জসিম হাওলাদারের চোখে দিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। অপর আহত ছিনতাইকারী মিরন মীর বলেন, আমাকে বেলাল মাদবর গাঁজা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে মোটরসাইকেলে তুলে ব্রিজের ওপরে নিয়ে আসে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই ব্যবসায়ী জসিম হাওলাদারকে মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র শীল বলেন, আহত চারজনকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, তিন ছিনতাইকারীকে পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply