মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রবিবার আমতলী লঞ্চঘাট থেকে এমভি হাসান-হোসেন লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে সামাজিক দূরত্বকে ‘দূরে’ ঠেলেই গাদাগাদি করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের উঠান। এতে ওই লঞ্চের যাত্রীদের মাঝে প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় সরকার গত ২৬ মার্চ নৌ ও সড়ক পথে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ওই সময় থেকেই এমভি হাসান-হোসেন লঞ্চ আমতলী ঘাটে নোঙ্গর করা ছিল। রোববার সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আমতলী লঞ্চঘাট থেকে এমভি হাসান-হোসেন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের পৌনে এক ঘণ্টা আগে ছেড়ে যায়।
হাসান-হোসেন লঞ্চে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৯৫ জন। কিন্তু ওই লঞ্চটি আমতলী ঘাট থেকে অন্তত তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে।
এরপরে লেবুখালী পর্যন্ত মাঝখানে পুরাকাটা, আয়লা পাতাকাটা, ভয়াং, কাকরাবুনিয়া ও পায়রাকুঞ্জু নামের পাঁচটি ঘাট রয়েছে। ওই সকল ঘাট থেকে অন্তত আরও তিন শতাধিক যাত্রী লঞ্চে উঠেছে বলে জানান লঞ্চে থাকা যাত্রীরা।
এতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দুইগুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ঢাকায় পৌঁছবে। যাত্রী মো. সোহেল বলেন, অন্তত ৩০০ যাত্রী নিয়ে এমভি হাসান-হোসেন লঞ্চ আমতলী ঘাট ছেড়েছে। পুরাকাটা লঞ্চঘাট থেকে আরও শতাধিক যাত্রী লঞ্চে উঠেছে।
কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই? গাদাগাদি করে লঞ্চে বসে আছি। আয়লা পাতাকাটা এলাকার শাজাহান মিয়া বলেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য হাসান-হোসেন লঞ্চে উঠেছি কিন্তু কোনো জায়গা পায়নি।
স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঢাকায় যেতে হবে। এমভি হাসান-হোসেন লঞ্চের করনিক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, নির্ধারিত সময়ের পৌনে এক ঘণ্টা আগে লঞ্চ ছেড়েছি। পথের পাঁচটি ঘাটে দেড় শতাধিক যাত্রী হতে পারে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ অনেক যাত্রী ঘাট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
Leave a Reply