মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে ভোলার ৬টি উপজেলার ওয়ার্ড ভিত্তিক ৪৩টি নির্দিষ্ট এলাকাকে “রেড জোন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ই জুন) থেকে ওই নিদিষ্ট এলাকাগুলোকে লকডাউন করার কাজ শুরু হবে।
এসব এলাকার সাধারণ মানুষদের আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এছাড়া ৪টি উপজেলার ওয়ার্ড ভিত্তিক ১১টি নির্দিষ্ট এলাকাকে “ইয়োলো জোন” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সকল এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সল্পপরিসরে চলাচল করতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৬ই জুন) রাতে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকএসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, জেলার ৭ উপজেলাকে তিনটি জোনে (লাল, হলুদ ও সবুজ) ভাগ করে মঙ্গলবার ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেবাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর এ সংক্রান্ত একটি বিবরণী পাঠানো হয়েছে।
সাত উপজেলার ৪৩টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু স্থানকে রেড ম্যাপিং করা হয়েছে। ওই সকল স্থান লকডাউন চলাকালে কঠোর বিধি-নিষেধের আওতায় থাকবে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানান জেলার প্রধান এই কর্মকর্তা।
জেলায় রেড (লাল) জোন এলাকাগুলো হলো: ভোলা সদর উপজেলার ভোলা পৌরসভার ১, ২,৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়া বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড,শিবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, আলীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, চরসামাইয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ও উত্তর দীঘলদি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড, দৌলতখান উপজেলার দৌলতখান পৌরসভার ২ ও ৪ নং ওয়ার্ড। এছাড়া উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ড।
এছাড়া গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, লালমোহন উপজেলার লালমোহন পৌরসভার ২, ৪, ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ড। এছাড়া কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, চরভূতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ও লালমোহন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড।চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন পৌরসভার ১, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৯নং ওয়ার্ড। তাছাড়া আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ১নং ও ৩নং ওয়ার্ড, আবুবকরপুর ৩নং ওয়ার্ড এবং মনপুরা উপজেলায় দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড। এই ৪৩টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু স্থানকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়া জেলার বাকি এলাকা সমূহ গ্রিন (সবুজ) জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।জেলার ৭টি উপজেলাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক এবং পৌরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই তিনটি রঙ দ্বারা বিভাজন করা হয়েছে।
বিভাজনে যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড করোনায় খুব বেশি সংক্রমিত বলে তথ্য রয়েছে,সেগুলোকে ‘রেড জোন’ বা লাল চিহ্নিত এলাকা, যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড মাঝারি পর্যায়ে সংক্রমিত বলে তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোকে ‘ইয়লো জোন’ বা হলুদ চিহ্নিত এলাকা এবং যে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে করোনা একেবারে সংক্রমিত হয়নি সেগুলোকে নিরাপদ রাখতে গ্রিন জোন বা সবুজ চিহ্নিত এলাকা হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে।ভোলার জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। আর সুস্থ হয়েছে ৪৩ জন।
Leave a Reply