সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশনের চরকলমীর আব্দুল বাছেদের মেয়ে সামছুন নাহারকে (১৯) বিয়ের ৮ মাস না যেতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এমন কি নির্যাতনের কারণে দুই মাস আগে তার গর্ভেই ৬ মাসের সন্তানও মারা যায়। এমন হত্যাকানণ্ডে বিচার দাবি করে শনিবার ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সামছুন নাহারের মা খাদিজা বেগম। এমন ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে খাদিজা বেগম বলেন, সামছুন নাহারকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী সাদ্দাম হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে ৪ জুলাই রাতে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। গত বছরের ১৪ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী আহম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডেও ফজলু সর্দারের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় সামছুন নাহারের।
বিয়ের কয়েক মাস না যেতে সাদ্দাম দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা না দেয়ায় নির্মমভাবে মারধর ও অত্যাচার করে। এ বছরের ৩০ মে এমন নির্যাতনে কারণে সামছুন নাহারের গর্ভের ৬ মাসের সন্তান মারা যায়। সামছুন নাহারের মা গরু বিক্রি করে জামাইর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা পরিশোধ করার কথা বলা সত্বেও ৪ জুলাই রাতে তাকে হত্যা করা হয়।এ ঘটনায় দুলারহাট থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন সামছুন নাহারের মা খাদিজা বেগম।
তবে দুলারহাট থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন জানান, তার কাছে কেউ অভিযোগ দিতে যায়নি। মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার প্রমান পেলে পুলিশ মামলা করবে। সুরতহাল রিপোর্টে ওই নারীর কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সামছুন নাহারের বোন নিলুফা বেগম, ভাই নজরুল ইসলাম, ফুফাত ভাই বেলাল হোসেন, চাচা আফজাল হোসেন।
Leave a Reply