মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার দৌলতখানে পারিবারিক কলহের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে শশুর পক্ষের লোকজনের মারধরে মেয়ের জামাতাসহ তিনজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়িতে সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোশারফ বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহতরা হলেন- জামাতা মোশারফ (২৮) তার বড় ভাই হুমাইয়ুন কবির (৪০) ছোট বোন মারজান (২৫) সহদর মৃত আব্দুল মালেক। আহতরা বর্তমানে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আহত মোশারফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্ত্রী তানিয়ার সাথে আমাদের পারিবারিক কোন্দল চলছে। এর মীমাংসার জন্য সকালে আমার শশুর লোকজন নিয়ে ইউপি সদস্য সফু ও ইউপি সদস্য আলমগীর সহ গণমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকে বসেন। এসময় আমার শশুর রফিক (৫৩), শ্যালক আজাদ (৩০), শাহিন (২৪) ও হান্নান সহ ১৫/২০ জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ হামলায় আমার বড় ভাই হুমাইয়ুন কবির, ছোট বোন মারজান ও আমি গুরুত্বর আহত হই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত রফিকের স্ত্রী রাজুফা জানান, তিন বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের ছেলে মোশারফের সাথে আমার মেয়ে তানিয়ার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ বয়ে আনতে পারেনি। মেয়ের সুখের জন্য আমি বিভিন্ন সময় আর্থিক সহযোগীতা করেছি। তারপরও মোশারফের বড় ভাই হুমাইয়ুন কবির ও তার বোন মারজান বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতো। এ নিয়ে আজকে সালিশ বৈঠক হয়েছে। এ সালিশ বৈঠকে মেয়ে তানিয়া ও স্বামী রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে তার অভিযোগ।
সালিশ বৈঠকে থাকা উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফু ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আমরা উভয়ের জবানবন্দী নিয়েছি। এরমধ্যেই মোশারফ এর ভাই হুমাইয়ুন কবির ও তানিয়ার চাচা আমির হোসেনের মধ্যে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনাকে সামাল দিতে সালিশে থাকা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আমরা সার্বিকভাবে কাজ করেছি। দৌলতখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, এঘটনায় মোশারফ বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply