শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চাকরিবিধি নিয়মানুযায়ী পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপজেলার ৬১ জন সহকারী শিক্ষকের উন্নতি স্কেলে ১৩তম গ্রেডে অর্ন্তভুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগী একাধিক ক্ষুব্ধ এসব সহকারী শিক্ষক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার অবহেলা ও গড়িমসিকে দায়ী করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ ও ২০১০ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থেকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় বেতন স্কেল ১৪তম গ্রেডে ৮৯ জন শিক্ষক যোগদান করেন। চাকরিবিধি মোতাবেক সহকারী শিক্ষকদের গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ৪৬ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৪৩ জনসহ মোট ৮৯ জন সহকারী শিক্ষককে এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করেন।
চিঠির আলোকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উচ্চতর স্কেল ১৩তম গ্রেডে পদোন্নতি প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা অর্থ বরাদ্দসহ বিভিন্ন অজুহাতে এসব শিক্ষকদের উচ্চতর ১৩তম গ্রেডে অর্ন্তভুক্ত করতে গড়িমসি করেন। ইতোমধ্যে গত ফেব্রিয়ারি মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার চিঠির আলোকে উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা উন্নতি স্কেল জাতীয় বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেডে ২৮ জনকে সুপারিশ করেন। এতে অবশিষ্ট ৬১ জন সহকারী শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭০নম্বর দক্ষিণ বেতাগী আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী সুমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৯ সালে চাকরিতে যোগদান করি এবং ২০১৯ সালে ১০ বছর পূর্ণ হয়। চাকরি বিধি মোতাবেক ১০ বছর পূর্ণ হলে উন্নতি স্কেল ১৩তম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয় কিন্তু গত দু বছরেও আমার উন্নতি স্কেলে পদোন্নতি হয়নি। এতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৭নম্বর মধ্য করুণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ মৃধা বলেন, ২০০৯ সালে যোগদান করি। চাকরিবিধি অনুযায়ী ২০১৯ সালে আমার ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু বেতন স্কেল ১৩তম গ্রেডে পদোন্নতি এখনো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহকারী শিক্ষক বলেন, উন্নতি স্কেলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ১৩তম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার গড়িমসি ও অবহেলা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের উন্নতি স্কেল ১৩তম গ্রেডে সুপারিশ করা হয়েছে।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাস বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয় অনুমতি ও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে অবশিষ্ট শিক্ষকদের উন্নতি স্কেলে অন্তর্ভুক্ত হবে।
Leave a Reply