মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনা জেলা শনিবার লকডাউন করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। কিন্তু লকডাউনের তৃতীয় দিনেও থামছে না জনগণ। বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
প্রশাসন শত চেষ্টা করেও থামাতে পারছে না। কেনাকাটা ছাড়াও অযথা ঘোরাফেরা করছে জনগণ। কারো মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয়ও কাজ করছে না।
সোমবার সকাল ১০টায় বরগুনা শহরে ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র। শহরের নজরুল ইসলাম সড়ক, সদর রোড, মাদ্রাসা সড়ক ও বাজার সড়কে উপচেপড়া মানুষ। নারী ও শিশুদেরও দেখা যায় বাজারে।
শিশুদের নিয়ে কেন বাজারে এসেছে জানতে চাইলে শিউলি নামের এক নারী জানান, ডাক্তার দেখাব, বাজারও করা লাগে। এজন্য বাচ্চাদের সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি।
এ রকম শত শত নারীরা লকডাউন উপেক্ষা করে বাজারে ঘুরছে। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট দিয়ে প্রতিদিন জরিমানা করে যাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন শাস্তি দিচ্ছেন। নৌবাহিনী মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। তারপরও জনগণ ঘর থেকে বের হচ্ছেন।
সোমবারও জেলায় দুইজন নতুন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বরগুনায় করোনায় আক্রান্ত ১২ জন। মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। সচেতন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও সাধারণ জনগণের মধ্যে ভীতি কাজ করছে না।
বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাচান ঝন্টু বলেন, লকডাউনের মধ্যে যে ভাবে বাজারে জনগণ ঘোরাফেরা করে তাতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কঠোর হতে হবে।
বরগুনায় নৌবাহিনীর দায়িত্বরত কমান্ডার জুবায়ের শাহিন বলেন, আমরা বরগুনার সচেতন করতে মাইকিং করে করে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন দিনরাত আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা যেন ঘর থেকে বের না হয়।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমিও জানি জনগণ অহেতুক বাজারে ঘোরাফেরা করছে। আমাদের কাছেও রিপোর্টও তাই। তারপরও আমরা দেখছি সরকারের সঙ্গে কথা বলে কী পথ অবলম্বন করা যায়। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন জরিমানা করে যাচ্ছেন। পুলিশ রোদের মধ্যে বসিয়ে রেখে শাস্তি দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে আমরা আরও বোঝাব।
Leave a Reply