সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে গত তিনদিন থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। যার ফলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মাছের ঘের ও বাড়ি-ঘর। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া রোজগারের মানুষগুলো।
বৈরি এ আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় দেখাতে বলা হয়েছে ৪ নম্বর বিপদ সঙ্কেত। বরগুনা সদরসহ অন্য পাঁচ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। পাশাপাশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী এড়াতে জেলা প্রশাসন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার রাতে আমারা এক জরুরি সভা করেছি। ওই সভার মাধ্যমে জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে গোটা জেলায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলায় ১৮টি খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরগুনা সদর উপজেলার টিমলিডার মো. জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, আমাদের সব স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রচারণা শুরু হরা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবীরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এদিকে ঝড়ের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ভারী বর্ষণের কারণে বরগুনার বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। থমথমে অবস্থায় রয়েছে গোটা পরিবেশ। মোবাইল ফোন ও সামাজিক মাধ্যমগুলো নেটওয়ার্কের দুর্বলতার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply