মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ একমাত্র মা-ই বুঝেন সন্তান হারানোর বেদনা। কেঁদে কেঁদে অশ্রু শুকিয়ে গেছে তবু ভুলতে পারছেন না ছেলে হারানোর কষ্ট। বেদনা বিধুর জীবনে সেই মায়ের এখন একটাই প্রত্যাশা জীবদ্দশায় যেন দেখে যেতে পারেন ছেলের হত্যাকারীদের বিচার।
নৃশংসভাবে খুন হন শাহনেওয়াজ রিফাত। আগের মতো কোলাহল নেই, নীরব রিফাত শরীফদের বাড়ি। থেমে থেমে ভেসে আসে একমাত্র ছেলে সন্তানহারা এক মায়ের আহাজারি। কিছুতেই থামছেনা তার কান্না।
আজ থেকে এক বছর আগে খুন হন রিফাত। তবুও শোকের মাতম কমেনি। এমনটাই তো হওয়ার কথা। এটাই তো স্বাভাবিক। তবে সন্তানহারা মায়ের কাছে বেদনার তীব্রতাকে ধরে রাখা দায়। সন্তানহারা এ মায়ের পুরো এক বছর কেটেছে ছেলের কবরের পাশে। ছেলে তো আর ফিরবে না, মায়ের মাথার কাছে এসে বসবে না। ছেলের কবর দেখেই সান্ত্বনা নিচ্ছেন মা।
রিফাতের মা মোসাম্মৎ ডেইজি আক্তার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতো বিছানায় শুয়ে। আমার ছেলে রিফাত যখন বাড়ি ফিরত। তখন সে প্রথমে আমার মাথার কাছে এসে বসতো। জিজ্ঞেস করত আমি কেমন আছি। আমার হাত পা টিপে দিতো। খাবার বেড়ে আমার কাছে নিয়ে আসতো। এখন আমার ছেলে নেই, সন্ত্রাসীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এখন মা বলে আমায় আর কেউ ডাকে না, মাথার কাছে এসে কেউ বলে না মা তুমি ওষুধ খেয়েছ।
রিফাতের মা আরো বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের সবার যেন ফাঁসি হয়। আমি বেঁচে থেকে যেন তা দেখে যেতে পারি।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড গ্রুপের সদস্যদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর যখম হয়ে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ মারা যায়। দেশব্যাপী আলোচিত এ হত্যকাণ্ডে জড়িতদের সবার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, রিফাতের পরিবারেরও এমন প্রত্যাশা।
Leave a Reply