সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামে সংঘর্ষে মো. সুলতান গাজী (৬০) নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের দুই পুত্র চুন্নু গাজী (১৮), পনু গাজী (২২) ও বড় ভাই আ. লতিফ গাজী (৭০) আহত হয়েছেন। আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সুলতান গাজীর বড় ভাই লতিফ গাজীর সাথে প্রতিবেশী মোশারেফ মাল, আইয়ূব মাল ও তৈয়ব মালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে লতিফ গাজীর চাষ করা জমিতে মোশারেফ মাল গংদের পালিত হাঁসজমিতে প্রবেশ করে বীজতলার ধান নষ্ট করে।
এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে মোশারেফ মাল গংরা লাঠিসোটা নিয়ে তার দুই পুত্র ও বড় ভাইকে পিটাতে থাকে।
এ সময় নিহত সুলতান গাজী তাদের মারামারি থামাতে গেলে মোশারেফ মাল গংরা তাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে নিহত সুলতান গাজীসহ তার দুই পুত্র ও বড় ভাই আহত হন। স্থানীয় ও স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুলতান গাজীকে নিহত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হবে।
নিহতের ভাইয়ের ছেলে মো. আবু জাফর বলেন, আমাদের সাথে প্রতিবেশী মোশারেফ মাল, আইয়ূব মাল ও তৈয়ব মালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
ঘটনার সময় আমাদের চাষ করা জমিতে মোশারেফ মাল গংদের পালিত হাঁস প্রবেশ করে আমাদের রোপণকৃত ধানের বীজ নষ্ট করে। এ নিয়ে আমাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা আমার চাচা সুলতান গাজীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে প্রতিপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুমন খন্দকার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই সুলতান গাজীর মৃত্যু হয়েছে। আর আহতদের যথাযত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারিতে সুলতান গাজী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে আমি হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply