সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
পাথরঘাটা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুস সোবহান। বিয়ে করাই তার নেশা। যার ফলশ্রুতিতে ৫৫ বছরে বিয়ে করেছেন ৪০টি। একের পর এক বিয়ে করতে করতে এখন তিনি পাগলপ্রায়।
এবার অন্যকে ফাঁসাতে নিজের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে খুন করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বিয়েপাগল এই বাবা। ঘটনার সময় বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বাঁচাতে আসা দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি। রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী আবদুস ছত্তার ও তার ছেলে নান্নার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সোবহানের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে সকালে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোবহান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে রিশাকে খুন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। এ সময় রিশাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে প্রতিবেশী ছত্তার ও তার ছেলে নান্নাকে কোপাতে শুরু করেন তিনি। সোবহানের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নান্নার হাতের একটি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অভিযুক্তের প্রতিবেশী লতিফ বলেন, আবদুস সোবহান এখন পর্যন্ত কতগুলো বিয়ে করেছেন তার সঠিক হিসাব নেই। তবে গ্রামের লোকজন বলছেন ৪০টি বিয়ে করেছেন। একের পর এক বিয়ে করে তিনি এখন পাগলপ্রায়। এজন্য এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছত্তার ও তার ছেলে নান্নাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত প্রতিবন্ধী রিশাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আবদুস সোবহানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, গুরুতর আহতদের বরিশালে পাঠানো হয়েছে এবং রিশাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply