সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
রাজাপুর প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা শহরে খাল ভরাট করে তা দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাঙ্গালিয়া-ধানসিড়ি নদী থেকে প্রবাহিত বারানি খালটি উপজেলা সদর বাজার এর দক্ষিণ অংশ হয়ে জেলখানার পেছন থেকে বাইপাস এলাকার ব্রিজ হয়ে জাঙ্গালিয়া নদীর সঙ্গে মিশেছে।
উপজেলা সদরের পানি নিষ্কাশনের এটিই একমাত্র প্রধান খাল। এক সময়ের খরস্রোতা এই খালটি দখলদারদের কবলে পড়ে আজ মরা খালে পরিণত হয়েছে। কোথাও আবার নালায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রাচীন কাল থেকেই নৌকায় করে বাজারে আসা-যাওয়া, ধান মিলে ধান নেয়া, বাজারের মালা-মাল বহনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এ খালটি ব্যবহার করতো।
কিন্তু দখলদারদের কবলে পড়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। জোয়ারের সময় সামান্য পানি থাকলেও ভাটার সময় পানি শূন্য হয়ে পড়ে। এ কারণে শহরের কোথাও আগুন লাগলেও পানির সংকট দেখা দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির উৎস পাওয়া যায় না। এছাড়া খালটি ও তার ছোট ছোট শাখা নালাগুলো ভরাট হওয়ায় সামন্য বৃষ্টি হলেই এ খালের আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ রয়েছে, খাল দখলে প্রভাবশালী, পয়সাওয়ালা ও এমনকী জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউও জড়িয়ে রয়েছেন। আর তাই প্রশাসন অনেক সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। আর এ সুযোগে খাল দখলদার মহলটি দিন দিন খাল দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। বর্তমানে উপজেলা সদরের বাইপাসমোড় এলাকায় বিএনপি অফিস এর পশ্চিম পাশের খালটি ভরাট করে কাজ করার বিষয়টি চোখে পড়ার মত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে জমির মালিক বেলায়েত হোসেন হাওলাদার পাইলিং দিয়ে খাল ভরাট করে খাল সংকুচিত করে ফেলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে মৌখিক ভাবে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এক বছর পরে হঠাৎ বর্তমানে পুনরায় আবার খালে পাইলিং দেয়ার কাজ শুরু করে।
এ ব্যাপারে রাজাপুরের ইউএনও সোহাগ হাওলাদার বলেন, খালটি সরেজমিনে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply