মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ মৌসুমের শুরুতেই ধরা পড়তে শুরু করেছে মিষ্টি পানির বড় আকারের ইলিশ। তবে বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কম। তাই দাম একটু বেশি। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর এক কেজি ওজনের এক একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। দাম ভালো হওয়ায় জেলে ও বিক্রেতা উভয়েই খুব খুশি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছগুলো খুচরা বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। আধা কেজির একটু বেশি হলেই তার দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। আবার মাঝেমধ্যে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম গুনতে হচ্ছে ১২শ’ টাকার বেশি।
উপজেলার বৈঠাকাটা ও গুলিশাখালী গ্রামের নাইয়াপাড়ার একাধিক জেলেরা বলেন, মাঝে মধ্যে পায়রা নদীর জেলেদের জালে কিছু বড় সাইজের ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। তবে সবচেয়ে বড় আকারের ইলিশ ও বেশি মাছ পাওয়া যায় পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর সাগর মোহনায়। বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম ভালো পাওয়ায় আমরা খুব খুশি।
এবছর মৌসুমের শুরুতে চাহিদার তুলনায় অনেক কম ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। এ কারণে মহিপুর, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালি থেকেও আমতলীর বিভিন্ন বাজারে ইলিশ মাছ আসছে। তবে ওইসব এলাকার ইলিশ নোনা পানির হওয়ায় বাজারে চাহিদা কম। তবে পায়রা নদীর মিষ্টি পানির ইলিশের স্বাদ বেশি। ফলে বাজারে এর চাহিদাও অনেক বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা এখানে মাছ কিনতে আসেন।
বরিশাল থেকে পায়রা নদীর ইলিশ মাছ কিনতে আসা ক্রেতা হাবিবুর রহমান ভূইয়া বলেন, পায়রা নদীর ইলিশ মাছ অত্যান্ত সুস্বাদু। আমতলীর মাছ বাজারে ইলিশের দাম একটু বেশি। তারপরেও মাঝে মাঝে এখানে আসি ইলিশ মাছ কিনতে। আজ দু’টি এক কেজি ওজনের দুটি মাছ কিনেছি ২১শ’ টাকায়।
জেলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রধানত পায়রা নদীতেই মাছ ধরি। কিন্তু এখন আর আগের মতো তাদের জালে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে না। তাই বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে ইলিশের দাম একটু বেশি।
আমতলী বাজারের মাছ বিক্রেতা আ: বারেক প্যাদা বলেন, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী সমূদ্র থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এ নদীর পানি মিঠা। সেজন্য এ নদীর মাছও অনেক সুস্বাদু। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে অনেক লোক এসে পায়রা নদীর তাজা ও বড় সাইজের ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে যায়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতে পায়রা নদীতে ইলিশ মাছ স্বীকার তুলনামূলক কম হচ্ছে। জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ছে না। ফলে বাজারে ইলিশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার না হওয়ায় এখন যা ধরা পড়ছে তার আকার অনেকটা বড়।
Leave a Reply