মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনায় দুইদিন নিখোঁজের পর বামনা উপজেলায় আল আমীন (২৪) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আল আমীন বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া গ্রামের প্রবাসী আবদুল খালেকের একমাত্র ছেলে।
এ ব্যাপারে বামনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।জানা গেছে, শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন রশিদ খানের বাড়ির বাগানে আল আমীনের ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পেয়ে বামনা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
বামনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন রুমা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে বামনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা বলেন, এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না । এটি পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে। তারা বলেন, আল-আমীন দীর্ঘ ৮ মাস পূর্বে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে চট্রগামে বিয়ে করে।
মেয়ের বাড়ি ভোলা। এ বিয়ে তার বাবা ও মাসহ পরিবারের কেউ মেনে নেননি। আল আমীনের স্ত্রী কুলসুমকে তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে। আল-আমীন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে মা ও বোনকে অনুরোধ করে।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তার বোন ও মায়ের সঙ্গে মতবিরোধ চলে। একপর্যায়ে আল আমীন বুধবার বাড়ি থেকে চলে যায়। দুইদিন পরিবারের লোকজন তার কোনো খোঁজ নেয়নি।
শুক্রবার সকালে আল আমীনের মরদেহ প্রতিবেশী রশিদ খানের বাগানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখতে পায়।প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, যে পেয়ারা গাছ থেকে আল আমীনের অর্ধঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সহজে কোনো মানুষ গলায় ফাঁস দিলে মারা যেতে পারে না।
তার পা দুটো সম্পূর্ণ মাটিতে ভাঁজ করা ছিল। তারা মনে করে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে।নিহত আল আমীনের বোন রুমা বেগম জানায়, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
তবে তার স্ত্রী চলে যাওয়ায় হয়তো সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।বামনা থানার ওসি এসএম মাসুদুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আল আমীনের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply