মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ মহমারী করোনার অযুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতিদিন বরগুনার আমতলী-পুরাঘাট খেয়া পারাপারে ট্রলার মাঝিরা তাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিকহারে ভাড়া আদায় করছে। এই সংবাদ পেয়ে সরাসরি ঘাটে উপস্থিত হয়ে বেশী ভাড়া আদায়ের সত্যতা যাছাই করে ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু করেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা।
গতকাল শনিবার বিকেলে আমতলী ফেরীঘাটে উপস্থিত হন তিনি। এদিন বরগুনা জেলা শহর থেকে আগত খেয়া পার হয়ে আমতলী আসা যাত্রীদের কাছ থেকে ট্রলার মাঝিরা জনপ্রতি ১৫ টাকা খেয়া পারাপারের ভাড়ার স্থলে ৪০ টাকা করে আদায় করেন। এ সময় তিনি খেয়া পার হওয়া যাত্রীদের কাছে জানতে চান মাঝি আপনাদের কাছ থেকে জনপ্রতি কত টাকা খেয়া ভাড়া নিছে? যাত্রীরা জানান, খেয়া পার হতে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৪০ টাকা নিছে। ততক্ষণাৎ তিনি খেয়ার মাঝিকে জনপ্রতি ২০ টাকা রেখে বাকী টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তার এই ডাইরেক্ট অ্যাকশনে খুশি হয়েছেন এই ঘাট দিয়ে পারাপাররত যাত্রীরা।
যাত্রী মানের উদ্দিন মিয়া বলেন, করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই খেয়াঘাটের মাঝিরা জনপ্রতি ১৫ টাকার ভাড়ার স্থলে ৪০ আদায় করছে। মাঝেমাঝে যাত্রী কম থাকলে জনপ্রতি ৭০/৮০ টাকাও আদায় করে। অপর যাত্রী হাফিজ মিয়া বলেন, জেলা পরিষদের সদস্যের ডাইরেক্ট এ্যাকশনে আমারা সাধারণ জনগন খুশি।
জেলা পরিষদ সদস্য আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই শুনতে পাচ্ছি এ খেয়াঘাটে অস্বাভাবিক হারে খেয়া যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। আর সরাসরি তার সত্যতা পেয়েছি। যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা মাঝিকে ফেরৎ দিতে বাধ্য করেছি। এরপরেও যদি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খেয়া ভাড়া আদায় করে তাহলে জেলা পরিষদের সভা ডেকে ইজারা বাতিল করার ব্যবস্থা করব।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ মো. দেলওয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, খেয়ার যাত্রীদের সাথে জুলুম সহ্যকরা হবেনা। বিধি অনুযায়ী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য এ খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদ মালিকানাধীন।
Leave a Reply