মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ সারাদেশের মতো বরগুনায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণ প্রতিহত করতে পুরো জেলা লকডাউনসহ নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে বরগুনা বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অহেতুক লোক সমাগম হচ্ছে, তা প্রতিহত করতে বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এ অবস্থায় শহরের ঢুকার রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।
সমাগম ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন বিভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। নানা অপ্রয়োজনীয় অজুহাতে বাজারে ভির করা শত শত মানুষ আটক হচ্ছে এসব অভিযানে। তাদের বিভিন্ন অভিনব পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়ার পরও বাজারে কমছে না জনসমাগম। তাই বাজারে জনসমাগম বন্ধ করতে বরগুনা পৌরসভার প্রতিটি প্রবেশ পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চেক পোস্ট বসিয়েছে বরগুনা জেলা পুলিশ।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সড়কে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকায় পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে পাড়া ও মহল্লা এবং অলিগলির সড়ক দিয়ে পৌরসভার বাহিরের লোকজন পৌর শহরে ঢুকে জনসমাগম করছে। এছাড়াও দূর থেকে মোটরসাইকেল ও রিকশায় করে লোক এসে শহরে জড়ো হয়ে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাই বরগুনা পৌরসভার সহায়তায় প্রতিটি প্রবেশ পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ক্রসিং গেইট স্থাপন করা হয়েছে।
এসব গেটে ২৪ ঘন্টা কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বপালন করবেন, যা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে বরগুনা জেলা পুলিশ। দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন, বরগুনা পৌরসভার মেয়র শাহাদাত হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সঞ্জীব দাস প্রমুখ।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন বলেন, ‘জনসমাগম প্রতিহত করতে আমাদের প্রচেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। তারপরও মানুষ ঘরে থাকছে না। তারা বাজারে অহেতুক ঘোরাফেরা করে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট থাকলেও অলিগলির সড়কগুলো উন্মুক্ত থাকায় পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে শহরে ঢুকে পড়ছে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের চেকপোস্টগুলোর সুফল আমরা পাচ্ছিলাম না। তাই এখন প্রতিটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যেকোন স্থান বা পথ দিয়ে বরগুনা শহরে প্রবেশ করতে হলেই চেকপোস্টের সম্মুখীন হতে হবে। এর ফলে জনসমাগম বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি শহরের মানুষের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, আমাদের এ উদ্যোগ আর কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতা বরগুনা শহরে জনসাধারণ এবং যানবাহনের অপ্রয়োজনীয় চলাচল হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Leave a Reply