সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার পশ্চিম ইলিশায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমি দখল করে ঘর উত্তোলন করছে স্থানীয় এক ক্ষমতাসীন দলের নেতা। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাঘারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। এছাড়াও ওই ক্ষমতাসীন নেতার বিরুদ্ধে বাজারের ইজারা নিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়, জুয়ার কোড বসিয়ে কমিশন নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লিখিতভাবে ভুক্তভোগী সাইমুন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ আমিন এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাঘারহাট বাজার সংলগ্ন সাইমুন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন পৈত্রিক ভোগদখলীয় ১,৯৭ শতাংশ জমিতে বাসভবন নির্মান করে বসবাস করে আসছে। যার দাগ নং ৪৪৪, ৪২০, ৪৩৭, ৪৩৫। মোঃ আমিন তার ভোগদখলীয় জমির উপর ভবন নির্মান করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবী করে। ব্যবসায়ী মোঃ আমিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয় শাহে আলম।
গত দুই সপ্তাহ আগে আ’লীগ নেতা শাহে আলম লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমিন এর বাসভবন সংলগ্ন ভোগদখলীয় ১১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নিয়ে ঘর উত্তোলন করে। এতে বাধাঁ দিলে সে ব্যবসায়ী আমিনকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে। শাহে আলম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকি-ধামকি দিলে মোঃ আমিন ভয়ে তাকে কিছু বলতে সাহস পাইনি। বর্তমানে শাহে আলম ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে এ বিষয়ে জানালে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে ব্যবসায়ী আমিন জানান। এছাড়াও মোঃ শাহে আলমের বিরুদ্ধে বাঘারহাট বাজার ইজারা নিয়ে অতিরিক্ত টোল আদায়, বাজারের টলঘরে জুয়ার কোড বসিয়ে কমিশন আদায়, সাধারণ মানুষের জমি দখল সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী মোঃ আমিন বলেন, আমার পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমিতে বাস ভবন নির্মান করতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশারী আ’লীগ নেতা মোঃ শাহে আলম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে। আমি তা দিতে অস্বীকার করলে শাহে আলম আমার ভোগদখলীয় ১১ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নিয়ে সেখানে ভবন নির্মান করছে। আমি নিজে একজন ব্যবসায়ী আমার এলাকায় ব্যাপক সুনাম আছে। বর্তমানে তার ভয়ে আমি কিছু করতে পারছি না। এ ব্যাপারে সাইমুন রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষে কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা শাহে আলম বলেন, এই জমির মালিক আমার ভাই। সেখানে আমি ঘর নির্মান করতে অনুমোদিত দেওয়া ঘর নির্মানের কাজ শুরু করি।
পরে স্থানীয় মোঃ আমিন এ কাজে বাধা দিলে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দু’পক্ষকে কাজ নিয়ে শালিশে বসার জন্য বলে। দু’পক্ষের কাগজপত্র দেখে শালিশদাররা আমাদের পক্ষে ১৬ শতাংশ জমি রায় দেয়। এসময় আমাদেরকে ১১ শতাংশ জমিয়ে মেপে বুঝিয়ে দিলে সেখানে আমি ঘর নির্মান কাজ শুরু করি।
Leave a Reply