সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদপুর ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাসায় কাজ করতে রাজি না হওয়ায় পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি তিন শিক্ষার্থীকে। এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৮২নং চাঁদপুর ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বাসায় কাজ করতে রাজি না হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের প ম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থীকে পিএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে ডিয়ারভূক্ত করা হয়নি। যারফলে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর এবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল। পরীক্ষা দিতে না দেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, নাহার বেগম (রোল নং ০৬), পান্না বেগম (রোল নং ৭), রিক্তা বেগম (রোল নং ১০), রেশমা বেগম (রোল নাং ১২) ও ফাতেমা বেগম (রোল নং ১৩)। যে কারণে এইসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটি বছর।
কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের দাবী আমাদের বাচ্চাদের দিয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুল সময়ে তার বাসায় কাজ করাতেন। আমাদের মেয়েরা সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করে ওই স্কুল থেকে অন্যত্র চলে গেলে তার বাসায় কাজ করাতে পারবেন না বলে ৫জন শিক্ষার্থীকে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে পরীক্ষার ডিয়ারভূক্ত করা হয়নি। যা সম্পূর্ণ সরকারী নিয়মবর্হিভূত। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের এধনের জালিয়াতির উপযুক্ত বিচারদাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীর পরিবার।
জানাতে চাইলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী পান্না বেগম বলেন, সমাপনী পরীক্ষার ডিয়ারে আমাদের নাম নাই কেন? জিজ্ঞাস করলে স্যারে বলেন তোমরা এ বছর পরীক্ষা দিতে পারবা না। আগামী বছর পরীক্ষা দিলে তোমরা এ+ পাবে। তাই তোমরা এ বছর পরীক্ষা না দিয়ে আগামী বছর দিয়ো। কিন্তু স্যারে নিজেই আমাদেরকে এ বছর পরীক্ষা দিতে দেয়নি। আমি স্যারের এধরনের কাজের বিচার চাই। ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী নাহার বেগমের মা বয়তুন বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে দিয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান স্কুল রেখে তার বাসায় কাজ করাতেন।
তিনি আরো বলেন আমার মেয়ে পরবর্তী সময়ে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। আমি তার এধরনের জালিয়াতির সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজানুর রহমান বলেন, ৫জনের মধ্যে বুধবার ( ১১ সেপ্টেম্বর )শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ২জনের রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। বাকী ৩জন রেজিষ্ট্রেশন না করার কারণে অন্য স্কুলে চলে যায়।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর ইসলাম বলেন, পিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান যে শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত করেনি ডিপিও স্যারের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা করা হবে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply