সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক।। বরগুনার আমতলী থানার হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারায় এ মামলা নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে বরগুনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের দায়ের করা অভিযোগ আমতলী থানার ওসি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে বরগুনার পুলিশ সুপার তার সরকারি ই-মেইল থেকে আমাকে মামলা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন মামলা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান যে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তা আমরা নথিভুক্ত (এফআইআর) করেছি।
এর আগে, গত ৩০ মার্চ রাতে সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৬ ও ৭ ধারায় অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ অভিযোগ দায়ের করেন।
ওইদিন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেছিলেন, শানু হাওলাদার গত ৪ দিন হলো মারা গেছেন। এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ কারণে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি লিখিতভাবে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।
ইশরাত হাসান বলেন, দেশ অঘোষিত লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সরকারি ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছি।
গত ২৬ মার্চ বরগুনার আমতলী থানা থেকে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ওই আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। ময়নাতদন্ত শেষে ২৬ মার্চ রাত ১১টার দিকে শানু হাওলাদারের মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না পেয়ে শানুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, শানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ ঘটনা তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।
#
Leave a Reply