মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ করা যাচ্ছেনা মানিঅর্ডার। করা যাচ্ছেনা মানিট্রান্সফার কিংবা অর্থ সম্পর্কিত লেনদেন। করা যাচ্ছে না কোন প্রকার সঞ্চয়স্কীম। রাত জেগে পাহারা দিতে হয় বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র। ডাকে আসা গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র নষ্ট হয়ে যায় বৃষ্টিতে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে মনপুরা উপজেলা পোস্ট অফিসের বাস্তব চিত্র।
ভোলার মনপুরায় ১৮ বছর যাবৎ উপজেলা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চলছে ভাড়া করা টিনসেডের ঝুপড়ি ঘরে। নাজুক পরিস্থিতিতে ভয় ও আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সরকারি অনেক কাজ করা যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পরিবেশ না থাকায়। এমনকি মানিঅর্ডার, মানিট্রান্সফার কিংবা অর্থ সম্পর্কিত লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। এতে সরকারীভাবে পোস্ট অফিস পরিচালিত কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মনপুরা উপজেলা সদর পোস্ট অফিসটি তিন তলা বিশিষ্ট ভবন ছিলো। ২০০২ সালে নদী ভাঙনের আজহাতে তৎকালীন পোস্ট মাস্টার মোঃ জামাল উদ্দিন ভবনটি ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়ার আর্জি জানায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটি তরিঘরি করে ভেঙ্গে ফেলা হয়। অথচ সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার ১৮ বছর পরও মনপুরা সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মেঘনা নদীর দুরত্ব এখনো প্রায় ১ কিলোমিটার। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ডাম্পিং ব্লক ফেলে নির্মিত হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। এতে হয়ে গেছে নদী ভাঙন রোধ।
এমতাবস্থায় দাপ্তরিক ভবন হারিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে পরিচালিত হচ্ছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মান হবে কি হবেনা এ নিয়ে রয়েছে মানুষের মনে সঙ্কা। এ ছাড়া সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারনের।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা পোস্ট মাস্টার আঃ মান্নান জানান, এরকম ভাড়া করা ঝুপড়ি ঘরে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। আর্থিক লেনদেন করতে হিমসিম খাচ্ছি। নতুন করে ভবন নির্মানের ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি দ্রুত পোস্ট অফিসের নতুন ভবনের বরাদ্ধ হবে।
Leave a Reply