মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ পালিয়েও রক্ষা পাননি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে পালানোর দশ দিন পরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের (৭০)। শনিবার (২৩ মে) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইউএনও মনিরা পারভীন মৃত্যু ওই বৃদ্ধের এলাকার ১০ বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন। দুপুরে ইউএনও মনিরা পারভীনের নেতৃত্বে করোনা প্রটোকল মেনে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের ওই বৃদ্ধ বাড়িতে জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গত ১৩ মে তিনি আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে সময় মেডিকেয়ার হসপিস ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবিএম তানজিরুল ইসলামের প্রাইভেট চেম্বারে দেখান।
ওই চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। ওইদিনই তিনি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যান। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে তার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ধরা পরে এবং চিকিৎসকরা তাকে করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন।
করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কথা শুনেই তিনি ওই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে গত মঙ্গলবার তার অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ভর্তি করেন।
গত বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠান। গত চারদিন তিনি আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নমুনা প্রতিবেদন আসার পূর্বেই শনিবার সকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন তার এলাকার দশ বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন এবং করোনা প্রটোকল মেনে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, তার নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসলে বোঝা যাবে তিনি করোনা ভাইরাস পজিটিভ না নেগেটিভ ছিলেন।
Leave a Reply