মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে একটি দোকানের পজেশন (ভিটা) নিয়ে পূর্ব বিরোধে সংঘর্ষে হাতুড়ি পেটায় ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে আমতলী ও গুরুত্বর ১ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের মালেক জোমাদ্দারের ছেলে মামুন জোমাদ্দারদের সাথে একই বংশের চাচাতো ভাই আ: রহমান জোমাদ্দারের ছেলে শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দারের বাজারের একটি দোকানের পজেশন (ভিটা) নিয়ে কিছুদিন পূর্বে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে শালিশ মিমাংসা করে দেওয়ার কথা থাকলেও আজ (সোমবার) দুপুর ১২টার দিকে মালেক জোমাদ্দারের ছেলে মামুন জোমাদ্দার, মাসুদ জোমাদ্দারসহ ৪/৫ জন লাঠিসোটা ও হাতুড়ি দিয়ে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে পিটিয়ে শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দার (৪৫) ও সিদ্দিক জোমাদ্দারের (৪৮) মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এসময় তাদের চিৎকারে শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দারের ছেলে লিমন (২১) ও সিদ্দিক জোমাদ্দারের ছেলে তানভীর (১৬) এগিয়ে আসলে তাদেরও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দারের মাথার আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকী ৩ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দারের ভাই লিটন জোমাদ্দার বলেন, আমাদের বংশের চাচা মালেক জোমাদ্দারের ছেলে মামুন জোমাদ্দারদের সাথে গুলিশাখালী বাজারে একটি দোকানের পজেশন (ভিটা) নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের শালিশ মিমাংসা করার কথা থাকলেও আজ মামুন জোমাদ্দারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে আমার দুই ভাইকে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ও তাদের দুই ছেলেকে মেরে আহত করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ঔষধ ব্যবসায়ী কামাল সওদাগর জানান, বাজারের একটি দোকোনের পজেশন (ভিটা) নিয়ে মামুন জোমাদ্দারদের সাথে বিরোধে চলে আসছে। আজ দুপুরে মামুন জোমাদ্দারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী হাতুরীপেটা করে শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দার ও তার ভাই সিদ্দিক জোমাদ্দারের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: ফারজানা ইয়াসমিন দিনা বলেন, আহতদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহআলম হাওলাদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply