মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও একজন আসামি নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছে আদালতে। অন্য আসামিরা সাফাই সাক্ষ্য দিতে চাইলেও তারা পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যের তালিকা দিতে পারেনি আদালতে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবারও সময় চাইলে বিচারক সময় আবেদন নাকচ করে আগামী ২৬ আগস্ট যুক্তিতর্কের জন্য দিনধার্য করেছেন।
সোমবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় জামিনে থাকা মিন্নি ও বরগুনা কারাগার থেকে রিফাত ফরাজিসহ ৮ জন আসামিকে পুলিশ পাহারায় আদালতে হাজির করা হয়। আসামি মুছা মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আসামিরা সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে তালিকা দাখিল করার কথা ছিল। কোনো আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যের তালিকা আদালতে দাখিল করতে পারেনি। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা নাচক করে দেন।
তিনি বলেন, আসামি কামরুল আহসান সায়মুন নিজে তার পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাকে আমি জেরা করেছি। এছাড়া কামরুল আহসান সায়মুন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকার করে জবাববন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে আসামিরা হত্যা করেছে। এ কারণে আসামিদের পক্ষে হয়তো কেউ সাফাই সাক্ষ্য দিতে চায় না। আগামী ২৬ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করবে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক শুরু করবেন।
আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, মিন্নি ও হাচান সাফাই সাক্ষ্য দেবে না। আমরা আদালতে আগেই জানিয়ে দিয়েছি- আমরা ন্যায়বিচার চাই। এ মামলায় মিন্নি সাক্ষী ছিল। তাকে অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে। মিন্নি ছিল প্রত্যক্ষ সাক্ষী। মিন্নি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি। মামলায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মিন্নি ও শিশু আসামিদের মোট ৮ জন জামিনে রয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply