বরগুনার বেতাগীতে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে তোলপাড় Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনার বেতাগীতে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে তোলপাড়

বরগুনার বেতাগীতে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে তোলপাড়

সার্ভিস তারে ব্যাপক বিদ্যুৎ খায় যা মিটার রিডিং-এ দেখা যায় না তাই বিলের পরিমাণ বেশি আসে ( ছবি: সংগৃহীত )




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগী পৌরশহরসহ পুরো উপজেলার গ্রামগুলোতে তোলপাড় চলছে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিল নিয়ে। পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত অনেকেই বলছেন সার্ভিস তারে ব্যাপক বিদ্যুৎ খায় যা মিটার রিডিং-এ দেখা যায় না তাই বিলের পরিমাণ বেশি আসে।

এ দিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকরা বকেয়া মাশুল ছাড়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে দেয়ার সুবিধা পেলেও মনগড়া বিল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত বিল কিভাবে সমন্বয় হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তরও পাচ্ছেন না।

এ অবস্থায় করোনা ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিতে হচ্ছে।পল্লী বিদ্যুৎ অবশ্য বলেছে, অতিরিক্ত টাকা সমন্বয় করে বিল পাঠানো হয়েছে। ৫-৭ দিনের মধ্যে গ্রাহকরা জুন মাসের যে বিল পাবেন তাতে অতিরিক্ত টাকা সমন্বয় করা থাকবে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিলে জানা যায়, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস বেতাগীর আওতায় প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহকদের নামে ভুয়া বিল প্রদানসহ প্রতিমাসে বিল নিয়ে এর আগেও কম-বেশি অভিযোগ ছিল। তবে এবারের অভিযোগ আগের তুলানয় আরও ব্যাপক আকারে। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে হাতে পাওয়া ভুতুরে বিল নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও টিভি নেই। তাদের বেলায়ও মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে।

বিল নিয়ে ভোগান্তির শিকার একাধিক বাসিন্দা জানান, মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাসের বিল আগের মাসগুলোর তুলনায় তিনগুণ করা হয়েছে। এই দুই মাস বাসায় মিটার রিডারও আসেননি। মিটার না দেখে অনুমাননির্ভর বিল করা হয়েছে। এখনও জুন মাসের বিল তারা পাননি। এ কারণে এই ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করেননি।

তারা বলেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসগুলো এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। আবার অনেকে বলছেন, পূর্বের মাসগুলোর বিল পরিশোধ করলেও নতুন মাসের তৈরি করা বিলে পূর্বের পরিশোধ করা বিল বকেয়া বিল হিসেবে যোগ করা হয়েছে।

বেতাগী বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার জানান, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিল বেশি মনে হচ্ছে। করোনার কারণে রিডার কোনো বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তবে পরে সমন্বয় করা হবে। আমরা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কথা বলেছি।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরগুনা আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মো. সাইদুর রহমান বলেন, ভুতুরে ও ভুয়া বিলের কোনো সুযোগ নেই আমাদের পল্লী বিদ্যুতে। মিটারের রিডিংয়ের বাইরে অতিরিক্ত বিল হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব আহসান বলেন,পল্লী বিদ্যুতের বিল নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রকৌশলীকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD