রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে ডেলিভারি করাতে গিয়ে নবজাতকের গলা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নার্সের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। নবজাতকের গলা ছিঁড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীকে মারধর করা হয়েছে বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন।
শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকলি গ্রামের প্রসূতির স্বামী মো. জুয়েল জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী রহিমা বেগম এর প্রসব ব্যথা ওঠে। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
প্রথমে হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় এবং ডেলিভারি করতে গিয়ে নবজাতকের গলাসহ মাথা ছিঁড়ে ফেলে নার্স দেবি।
পরে নবজাতকের গলা ছিঁড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে সিজার করা লাগবে বলে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা পালিয়ে যায়। পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে পাঠায়।
এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, গতকাল শনিবার রাতে অন্তসত্ত্বা একজন রোগী ভর্তি হয়। সে সময় অন্তসত্ত্বা রোগীর সন্তান মৃত ছিল এবং ভর্তির সময় তার প্রসব ব্যথা ছিল। হাসপাতালের নার্সরা তার নরমাল ডেলিভারি করে। ডেলিভারি শেষ করার আগে রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। পরে সকালে কনসালটেন্ট ডাক্তার এসে রোগীর চিকিৎসা করে।
এ ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
Leave a Reply