সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:বরিশাল শের-ই বাংলা হাসপাতালের সামনে জেলা পরিষদের মার্কেটের নিচ তলায় থাকা টয়লেট বাদ দিয়ে স্টল নির্মান করার ঘটনায় ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেয়া দিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা যেকোন সময় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকী দিয়েছেন। তারা বলছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের পার্সেনটেজের বিনিময়ে এক ব্যবসায়ীকে টয়লেট বাদ দিয়ে স্টল করে দিয়েছেন। এর বিনিময়ে তারা কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। আর এ কাজে সহযোগীতা করছেন বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মুজাহিদুল ইসলাম।
তিনিই সব কাগজপত্র বানিয়ে এ ধরনের কাজ করেছেন। শুধু হাসপাতালের সামনেই নয় আরো অনেক জায়গায় জেলা পরিষদের টয়লেট বাদ দিয়ে দোকান নির্মান করে বিক্রী করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শের-ই বাংলা হাসপাতালের সামনে জেলা পরিষদের চারটি মার্কেট রয়েছে। চারটি মার্কেটেরই নিচ তলায় পাবলিক টয়লেট বনানো হয়। ব্যবসায়ী ও হাসপাতালে আসা রোগীদের সুবিধার জন্য। প্রত্যেকটি মার্কেটে দুটি টয়লেট থাকার কথা।
কিন্তু সম্প্রতি হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ শামিম জেলা পরিষদের সাথে যোগসাজশ করে একটি টয়লেট লিজ নিয়ে সেখানে আরো একটি স্টল নির্মান করেন। সম্প্রতি এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবর রহমানের সাথে শামীমের বিরোধ দেয়। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে কাউন্সিলর মজিবর রহমান ফার্মেসী করতে বাধা প্রদান করেন।
মজিবরের দাবী টয়লেট করা হয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণের সুবিধার জন্য সেখানে ফার্মেসী হবে কেন। ফার্মেসী করতে হলে জেলা পরিষদ নতুন মার্কেট করে স্টল ভাড়া দিতে পারেন।
কিন্তু জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে টয়লেট বন্ধ করে দোকান করেছেন। আর টয়লেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন তলায়। এখন সবারতো তিন তলায় গিয়ে টয়লেট ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই আমি স্টল নির্মানের ব্যাপারে বাধা দিয়েছি। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই।
ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী ওষুধ বিতানের মালিক হারুন মিয়া জানান, আমি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। হাটা চলা করতে খুবই কষ্ট হয়। আমারতো তিন তলায় গিয়ে টয়লেট ব্যববহার করা সম্ভব নয়।
তাই আমি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি যাতে আযে যেখানে টয়লেট ছিল সেখানেই রাখা হয়। তিন তলায় যাওয়া অনেকেরই কষ্ট হবে বিশেষ করে যারা বয়ষ্ক।
এই মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীরই বয়স ৬০ পেরিয়েছে। তারা অবিলম্বে জেলা পরিষদের হটকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়েছেন। তা না হলে কঠোর আন্দোলন শুরু করার কথা বলছেন তারা।
হাওলাদার ফার্মেসীর মালিক আব্দুল মাজেদ মিয়া জানান, নিচ তলায়ই সব মার্কেটের টয়লেট থাকে। সকল ব্যবসায়ীরাই এর সাথে এক মত। আমাদের কারো সাথে আলোচনা না করে হুট করে তিন তলায় টয়লেট নেয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।
জেলা পরিষদের ৬নং মার্কেট হাওলাদার বোর্ডিং এর নিচ তলায় থাকা টয়লেটটিও এক বছর পূর্বে দখল নেয় স্থানীয় কালু নামে এক ব্যবসায়ী।
অভিযোগ রয়েছে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই কালু স্টল নির্মান করেন। এছাড়া ব্যাবিলিয়ন ডায়াগনোস্টিকের নিচ তলার টয়লেটটি ব্যাবিলিয়ন কর্তৃপক্ষ স্টল বানিয়েছেন।
কাজী মেডিসিনের ব্যবসায়ী কাজী শামসুল হক জানান, এভাবে অবৈধভাবে টয়লেটগুলো দখল হয়ে যায় তাহলে আমরা কোথায় যাব।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মানিক হার রহমান বলেন, আমরা এগুলো তদন্ত করে বাতিল করে দেব। আমি সম্প্রতি আসছি।
এখন এর পূর্বে কারা প্লান পাস করলো কিভাবে সেখানে স্টল উঠলো খতিয়ে দেখতে হবে। আর আমরা সব সময় ব্যবসায়ীদের কথাটাই আগে চিন্তা করবো। সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনেরও আশ্বাস দেন তিনি।
Leave a Reply