মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে আমন আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ধানসিঁড়ি নদী খনন করে অপরিকল্পিত ভাবে স্তুপ আকারে মাটি রাখায় এ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ককৃষকরা। কেননা মাটির নিচে চাপা পরে সংযোগ খাল ও সেচ নালা বন্ধ হয়ে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার জায়গায় ধানসিঁড়ি নদী খননের মাটিতে সংযোগ খাল ও সেচ নালা চাঁপা পরে আছে। বাগরী ব্র্যাক মোড় এলাকা থেকে উত্তর বাগরী গাজী বাড়ির খাল পর্যন্ত প্রায় ১৫শ বিঘা জমিতে এ সমস্যার কারনে এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আর একারনে কৃষকরা হতাশ হয়ে পরেছেন।
পাশাপাশি এসব জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দীর্ঘ দিন এ সমস্যার কারনে সংযোগ খালে পানি না আসায় এলাকাবাসি এই দূষিত পানি রান্না ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে।
কৃষক ফারুক সিকদার জানান, ব্র্যাক মোড় এলাকায় ২টি ছোট কালভার্ট রয়েছে যা নদী খননের সময় মাটি রাখায় মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক আমরা বাধা দিলে তারা পরে সরাবে বলে আশ্বাস দেয় কিন্তু আজও পর্যন্ত সরায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, নিজ উদ্যোগে মাটি সরাতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাদের জায়গা দাবী করে দখল করে আছেন এবং মাটি সরাতে বাধা প্রদান করছে।
উত্তর বাগরী এলাকার বাহাদুর গাজী, মোজাম্মেল, ইসরাফিল খান, এসমাইল খান, আঃ মজিদ, আঃ রউফ, আমরা প্রতি বছরের মতো চলতি মওসুমে ইরি আবাদ করতে পারিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধানসিড়ি নদী খননের ঠিকাদার খননের মাটি সরিয়ে না নেয়ায় সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পাহাড়ের মত মাটি কেটে ফেলে রাখায় এ্ই এলাকার ৬টি সংযোগ খাল ও ৫টি কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে মাটির নীচে চাঁপা পরেছে। দ্রুত এ মাটি সরিয়ে খাল ও কালভার্টের মুখ চালু করতে না পারলে এই আমন মৌসুমেও চাষাবাদ করা সম্ভব হবেনা বলে কৃষকদের অভিযোগ।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারন অফিসার আ: ছালাম আকন জানান, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে অতিবৃষ্টির কারনে পানি আটকে থেকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ কারনে বীজতলা বা রোপনকৃত ধান নষ্ট হতে পারে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে মাটি সরিয়ে সেচ নালা ও সংযোগ খাল গুলোর পানি চলাচল করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। তবে খননের মাটি গুলো কিছু অংশ সরিয়ে ওয়াক আউট করা হবে।
Leave a Reply