মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারগুলোতে কয়েক হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে এখনও পাইকারের দেখা মিলছে না।
স্থানীয় বাজারও বসতে শুরু করেনি এখনও। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবার পশুর হাটও কম বসবে।এসব কারণে আশানুরূপ ক্রেতা এবং দাম কোনটাই মিলবে না বলে খামারিরা আশঙ্কা করছেন।ফলে অনেক পশুই অবিক্রিত থেকে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে, এতে লাভের পরিবর্তে লোকসানে পড়তে হতে পারে বলে খামারিদের ধারণা। অবশ্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ঈদের পরেও এসব পশু বিক্রি হবে বলে লোকশান হবে না।
ঝালকাঠিতে আসন্ন ঈদুল আজহায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। এ জন্য জেলায় ১২৩০টি খামার এবং পারিবারিকভাবে পালিত পর্যাপ্ত পশু প্রস্তত রয়েছে।
এসব পশু কোরবানি উপযোগী মোটাতাজাকরণে খড়-বিচালি, গম, ভাত, খৈল, ভুষি, এবং কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। খামারিরা ব্যাংক ঋণে সাহায্যে অর্থের সংস্থান করে এসব খামার গড়ে তুলেছেন। সারাবছরের পরিশ্রমের ফল হিসেবে লাভের আশায় থাকলেও এবারের করোনা পরিস্থিতিতে তাদের সে আশাপূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর পিংরী এলাকার সৈয়দ এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী সৈয়দ এনামুল হক কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৬০টি গরু ও ৭০টি ছাগল কিনে প্রায় এক বছর ধরে লালন-পালন করে বিক্রয় উপযোগী করে তুলেছেন। তার আশা ছিল, এবারে কোরবানিতে ৪০টি গরু ও ৫০টি ছাগল বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পরে ভাল মুনাফা পাবে। তবে করোনায় তার এ লক্ষ্য অধের্কও পূরণ হবে না বলে তিনি জানান। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য খামারিদেরও।
খামারি সৈয়দ এনামুল হক বলেন, ‘আমার খামারে প্রায় ৬০ গরু ও ৭০টি ছাগল আছে, যার মধ্যে ৪০টি গরু এবং ৫০টি ছাগল বিক্রি যোগ্য। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজারের অবস্থা ভাল না। ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা যে আশা করেছিলাম, সেরকম লাভবান হতে পারব না।
ঝালকাঠি পাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানি ঈদে হয়তো আশানারূপ পশু বিক্রি নাও হতে পারে। তবে বিক্রয় উপযোগি পশুগুলো কোরবানির পরেও বিক্রি করা যাবে।
Leave a Reply