মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মীদেরকে মারধর ও বাড়িতে বোমা ফুটানোর অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী প্রার্থী মো. মাইনুদ্দিনের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচনের ভোট গণনার পর থেকেই প্রতিপক্ষ মো. সাদেকের কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে বোম ফুটানো ও তার কর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে বলেও অভিযোগ করেন সাদেক।
মোরগ প্রতিকের প্রার্থী মো. সাদেক অভিযোগ করে বলেন, শিবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কালাম মারা যাওয়ার পর ওই ওয়ার্ডটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়। এবং ১৪ অক্টোবর সোমবার ওয়ার্ডটিতে উপ-নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আমি মোরগ প্রতিক নিয়ে তালা প্রতিকের প্রার্থী মো. মাইনুদ্দিনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। সোমবার ভোট গণনার পর থেকেই আমার মাউনুদ্দিনের কর্মী মো. নাগর আমার ও আমার কর্মী মো. রিয়াজ, মো. জুয়েল, মো. কবির, মো. আলমগীর মেম্বারসহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ১৫-২০টি বোমা ফুটায়।
এবং মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মাইনুদ্দিনের কর্মী জুয়েল, কাশেম, আল আমিনসহ ৪-৫ জন মিলে মটোরসাইকেল যোগে এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় তারা আমার কর্মী মো. রাজ্জাক (জীবন) ও তার মেয়ে এবং স্ত্রীকে মারধর করে আহত করে। এতে আমার নেতাকর্মী এলাকায় আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে এসকল ঘটনার প্রকৃত বিচার দাবি করছি। বর্তমানে মাইনুদ্দিনের কর্মীদের অত্যাচারে আমার কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছে না।
বিজয়ী প্রার্থী মো. মাইনুদ্দিন এসকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, কালকে ভোট গননার সময় বাহিরে বোম ফুটানোর আওয়াজ পেয়েছি। কে বা কাহারা ফুটিয়েছে সেটা আমি জানি না। তবে তার পর থেকে এলাকায় কোনো বোমের আওয়াজ পাইনি। এবং আমাকে কেউ এ কথা জানায়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, নির্বাচনে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখছি। ঘটনা সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply