মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার শশীভূষণ থানার চরকলমী ইউনিয়নে চোরের উপদ্রবে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় চরকলমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রামবাসী।
গত বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, গত এক মাস ধরে ওই ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে সিঁদেল চোর ও গরু চোরদের তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। চুরি হয়েছে একাধিক বাড়িতে। সম্প্রতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাকসুদুর রহমানের দুটি এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বেল্লাল হাওলাদারের দুটি গরু চুরি হয়। এ বিষয়ে পাঁচ অক্টোবর শশীভূষণ থানায় জিডি করা হয়।
এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর নাংলাপাতা গ্রামের স্বপন ও নুরাবাদ ইউনিয়নের আবুল কালামকে শশীভূষণ থানা পুলিশ আটক করে। আটকের পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গরুর মালিক মাকসুদুর রহমান। কিন্তু পরে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে তারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে গরুর মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
গরুর মালিক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় চরকলমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম মোল্লা, সেলিম,কবির হাওলাদার, সাজাহান হাওলাদার ও আবুল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন তিনি থানায় ছিলেন না। দায়িত্বে ছিলেন ওসি তদন্ত।
ওসি তদন্ত আবুল হাসান খান জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চুরির অপরাধ প্রমাণিত হয়নি এবং কেউ মামলা দিতে রাজি হননি। তাই আটক দুই জনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply