মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ টানা বর্ষণ ও অমাবস্যার প্রভাবে বরগুনাসহ উপকূলের নদ-নদীতে অধিক উচ্চতার জোয়ারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের। শিগগির বাঁধগুলো মেরামত করা না হলে জোয়ারের চাপে বাকিস্থানগুলোও ভেঙে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
টানা বর্ষণ ও অমাবস্যার প্রভাবে অধিক উচ্চতায় জোয়ার প্রবাহিত হওয়ায় জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় তিনটি স্থানে ৫ কিলোমিটার ৪৫ মিটার। পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা, ছোনবুনিয়া, তালুকের চরদুয়ানি এবং নামক এলাকায় ১ কিলোমিটর ২৬৩ মিটার, বামনার উপজেলায় অযোধ্য, কালিকাবাড়ী এলাকায় ৪৩৬ মিটার, তালতলীতে ১ কিলোমিটার ২১০ মিটার এবং বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার এলাকায় ২০ মিটার বাঁধ জোয়ারের পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কাযালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২২টি পোল্ডারে ৯০৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে লঘুচাপ, প্রবল বৃষ্টি ও অমাবস্যার প্রভাবে নদীতে অধিক উচ্চতার জোয়ারের তোড়ে ৮ কিলোমিটার ৫৪১ মিটার বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার কুমড়াখালী, ফুলতলা এলাকা নদীর তীরবর্তী বাঁধের নিচের অংশের আংশিক মাটি পানির তোড়ে নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া মাইঠা ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এর ফলে বিভিন্ন ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ঘের ও পুকুরের মাছ পানির স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে।
মাইঠা গ্রামের বাসিন্দা মো. হিরণ বলেন, বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। দুই দিন ধরে ভাঙা স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কাযালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকুলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির তোড়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৯ কিলোমিটার বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। এসব বাঁধের সংস্কারের জন্য আমরা অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালায়ে চিঠি দেবো।
এ বিষয়ে ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২১ কিলোমিটার বাঁধের সংস্কার কাজ চলমান, অধিক উচ্চতার জোয়ারের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ চিহ্নিত করে আমরা সংস্কারের ব্যবস্থা করবো।
Leave a Reply