মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে দ্বীপ জেলা ভোলাকে ৭নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন ধাপের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১’শ ৪টি সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯২ টি মেডিক্যাল টিম।
সোমবার (১৮ মে) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) সদস্যরা। ভোলার বিচ্ছিন্ন চর ও নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্ততির অংশ হিসাবে ভোলার ২১ চরের ৩ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কোস্টগার্ড এ সকল মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে সহায়তা করবে। একই সাথে সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত ৪০০টিসহ সর্বমোট ১১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি নিরাপদে আসতে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের জন্য ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা ছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও শিশু খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়কালীন সময় ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এ তিনটি ধাপেই কাজ করার জন্য সকল প্রস্ততি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply