শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ যথতত্র পড়ে আছে ডাবের খোসা, প্লাষ্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ ও খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ সহ অসংখ্য আবর্জনা। আর ডাষ্টবিনগুলোর চারপাশ ময়লায় সয়লাব। কোন অজ্ঞাত কারনে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পরিচ্ছন্ন না করায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা এখন পরিনত হয়েছে ময়লা ভাগাড়ে। সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে আসা পর্যটকরা ফিরছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ী সহ পর্যটকদের।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং সৈকতের ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানালেও সৈকতের যেখানে সেখানে ময়লা পরে থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক যাবের হোসেন জানান, তিন দিন হয়েছে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ময়লা আবর্জনা। অনেক স্থানে খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে। এসব খাবার থেকে দুর্ঘন্ধ ভেসে আসছে। এই তিন দিনে কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী চোখে পড়েনি। নারায়নগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ইসমাইল হোসেন জানান, সৈকতের চারদিকে নোংরা আবর্জনা। বিশেষ করে পূর্ব পাশের বেঞ্চির পিছনে ডাষ্টবিনগুলো অবস্থা একেবারে খাবার। চারপাশ ময়লায় সয়লাব। দুর্ঘন্ধে বেঞ্চে বসা দায় হয়ে পড়েছে। এর আগে এতো অপিরচ্ছন্ন ছিলোনা। আমরা অন্ততপক্ষে কুয়াকাটা সৈকতটুকু সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।
কুয়াকাটা ফিস ফ্রাই মার্কেটের সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, চার পাঁচদিন ধরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ রেখেছে। যার কারনে উপায় না পেয়ে আমরা একটি ভ্যান ঠিক করে এখানের ময়লা দুরে ফালাচ্ছি। বিষয়টি আমরা মেয়রকে অবহিত করেছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অচিরেই বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেবো। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বীচের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বীচ পরিচ্ছন্ন করা হবে।
Leave a Reply